আটককৃত সিগারেট ৬৫০ কার্টনে পাওয়া যায়। তারমধ্যে ইজি ব্রান্ডের ৪৫০ কার্টন এবং দুনহিল ব্রান্ড ২০০ কার্টন।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. শহিদুল ইসলাম জানান, কুয়েত থেকে ছেড়ে আসা কেইউ ২৮৩ ফ্লাইটটি মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দারা জানতে পারে যে উক্ত ফ্লাইটে বিপুল পরিমাণ সিগারেট আসবে। এ প্রেক্ষিতে শুল্ক গোয়েন্দা দল ব্যাগেজ বেল্টসহ গ্রিন চ্যানেলে বিশেষ নজরদারি বজায় রাখে।
কুয়েত ফ্লাইটের জন্য নির্ধারিত ৪নং ব্যাগেজ বেল্ট হতে ব্যাগ সংগ্রহ করে পাঞ্জাবি টুপি পরিহিত যাত্রী মোহাম্মদ বাবর আলম গ্রিন চ্যানেল দিয়ে বের না হয়ে হাজীদের বের হওয়ার জন্য নির্ধারিত গেটের দিকে দ্রুত রওনা দিলে শুল্ক গোয়েন্দা দল তাকে চ্যালেঞ্জ করে। এরপর তার কাছে থাকা ৩টি লাগেজ স্ক্যান করে বিপুল পরিমাণ সিগারেটের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
এছাড়া ব্যাগেজ বেল্টে পরিত্যক্ত অবস্থায় আরো ৩টি লাগেজ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে কাস্টমস হলে রাত ৩টার দিকে বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে ৬টি লাগেজ খুলে মোট ৬৫০ কার্টনে ১ লাখ ৩০ হাজার শলাকা আমদানি নিষিদ্ধ বিদেশি সিগারেট আটক করা হয়।
সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে বাংলায় ধূমপানবিরোধী সতর্কীকরণ লেখা ব্যতিত বিদেশি সিগারেট আমদানি করা যায় না।
সিগারেটের ওপর উচ্চ শুল্ক (প্রায় ৪৫০%) পরিহারের জন্যই এসব সিগারেট আনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পণ্যের শুল্ককরসহ আটক পণ্যের মূল্য প্রায় ৬০ লাখ টাকা।
আটককৃত পণ্যের বিষয়ে শুল্ক আইনে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।